সৈয়দ তারেক মো.আব্দুল্লাহ্,
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দিগিরপাড় গ্রামে, পারিবারিকভাবে বন্টকনামা করে বসবাস করা জমি নিয়ে গত ৯ এপ্রিল দৈনিক সকালের সময় ও স্থানীয় সাপ্তাহিক বোয়ালমারী বার্তা পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে,চার সহদর ভাই কাজী শাহিনুর ইসলাম,কাজী নজরুল ইসলাম, কাজী শরিফুল ইসলাম, ও কাজী সাইফুল ইসলাম গং।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ০৯ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে দিঘীরপাড় মৌজার বিএস ৪৩০ এবং ৪৩১ নং দাগের জমির বিষয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাতের আধারে জমি দখলের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহিন। যে ছবি তুলে নিউজ করা হয়েছে সেই ছবিতে দেখানো কার্যক্রম ১৪৪ ধারা জারির পূর্বে করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন,উদ্দেশ্যপ্রনোদীত।
বোয়ালমারী থানার এস আই সিন্ধু সাহেব ১৪৪ ধারার নোটিশ যে তারিখে প্রদান করেন তারপরে ওখানে আর কোন কাজ করা হয়নাই। যাহা এস আই সিন্ধু সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলেই জানা যাবে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন অমান্য করার কোন কাজ আমরা করিনাই। আমার প্রতিপক্ষ শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাইগণ যে অভিযোগ দায়ের করছেন তা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এতে তাদের নোংরা ও হীনমনের পরিচয় দিয়েছেন।
আমরা সরকারি চাকুরী করি বিধায় বাড়িতে কেউ না থাকায় বাড়ির মালামালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুরাতন গেট মেরামত করা হয়েছে মাত্র। আমরা যে জমিতে বসবাস করছি(বিএস ৪৩১ নং দাগ) উক্ত জমির কিছু অংশ তাদের মায়ের নামে বটে কিন্তু ২০০৫ সালে স্হানিয় গণ্যমান্য ব্যাক্তির উপস্থিতিতে পারিবারিক ভাবে বন্টননামা করা হয়।
উক্ত বন্টননামা অনুযায়ী আমাদের প্রতিপক্ষ যে জমিতে বসবাস করছে অর্থাৎ বিএস ৬৮২ নং দাগের জমিতে আমাদের ও অংশ (১৫ শতাংশ জমি)আছে বিধায় বন্টননামা অনুযায়ী সমন্বয় করে ৬৮২ নং দাগে ২৪ শতাংশ জমি পুরাটাতেই তাহারা বসবাস করছে। ৪৩১ নং দাগে ১৯ শতাংশ জমি পুরাটাই আমরা বসবাস করছি। আমরা কখনও বেশি জমি ভোগ করছি না, কিন্তু তাহারা আমাদের একান্তই হয়রানি করার লক্ষে উক্ত জমিতে মামলা দায়ের করেছেন যাহা একান্তই অসামাজিক এবং অবান্তর ।পত্র পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের মানহানি করা হয়েছে। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।
শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো.ইস্রাফিল মোল্যা বলেন পূর্বের থেকে কাজী আবু সামার গং এবং কাজী শরিফুল ইসলাম গং বাড়ীতে একসাইড করে বসবাস করতো, আমরা এ ব্যপারে শালিশ করেছি কিন্তু মায়ের কাছ থেকে জমি রেকর্ড সুত্রে পাওয়ায় কাজী সামার গং এখন সাদা কাগজে করা বন্টকনামা মানতে চায় না তারা যার যার জায়গায় বসবাস করতে চায়।
কাজী আবু সামার বলেন বিবাদী কাজী শরিফুল ইসলাম গং বাবার ৮ শতাংশ জমি পাবে । ৫৫৭, ৫৬১ দুই দাগে মিলে আমার মাতুল সম্পতি ২০ শতাংশ জমি, আমার মায়ের জমি আমিতো ভাগ দিবো না।
কোর্টে মামলা হয়েছে মার জমি নিয়ে বিরোধে।
বাবার জমি সবাই ভাগ পাবে, তবে আমার মায়ের মাতুল সম্পতি আমরা পাবো,যেহেতু বাবার দুইটি পক্ষ, প্রথম পক্ষের সন্তান আমরা। এই জমি আমার মায়ের নানাবাড়ী থেকে মাতুল সুত্রে পাওয়া।
কাজী শরিফুল গং মায়ের জমি থেকে পাবে না।
তারা জোর করে দখল করে মায়ের জমিতে বিল্ডিং উঠাচ্ছে।
এজন্য আমরা মামলা করেছি।
কোর্টে ১৪৪ ধারা অমান্য করে কাজী শরিফুল ইসলাম গং বিল্ডিং এর বেস ঢালাই করছে এমন অভিযোগের ব্যপারে সহকারী পুলিশ পরিদর্শক সিন্ধু বলেন কোর্ট থেকে ১৪৪ জারির আগেই কাজী শরিফুল ইসলাম গং ব্লিডিং এর বেস ঢালাই করছে, মামলা হওয়ার পর কোন কাজ করে নাই।
Leave a Reply